মাটি, পানি, তেল, গ্যাস

সাধারণ জ্ঞান - বাংলাদেশ বিষয়াবলী - মাটি, পানি, তেল, গ্যাস

প্রাকৃতিক গ্যাস

  • বাংলাদেশে প্রথম গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়- ১৯৫৫ সালে, সিলেটের হরিপুরে।
  • গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ১৯৫৭ সালে, সিলেটের হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্র হতে।
  • বাংলাদেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র আছে ২৯টি।
  • বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র-তিতাস গ্যাসক্ষেত্র (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
  • সবচেয়ে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে।
  • উৎপাদন স্থগিত এমন গ্যাসক্ষেত্র কামতা, ছাতক, সাঙ্গু, ফেনী এবং রূপগঞ্জ ।
  • সর্বশেষ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র ভোলার ইলিশা-১ কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ভোলার ইলিশা কূপটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। (২৯তম) ভোলা।
  • গ্যাস-তেল অনুসন্ধানের মোট ব্লক রয়েছে স্থল ভাগে ২২ টি এবং সমুদ্র উপকূলে রয়েছে- ২৬টি।
  • সমুদ্র উপকূলে গ্যাসক্ষেত্র- ২ টি। সাঙ্গু এবং কুতুবদিয়া ।

তেল

  • দেশে তেল অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয় ১৯৫৯ সালে ।
  • সর্বপ্রথম তেল ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় সিলেটের হরিপুরে ১৯৮৬ সালে ।
  • হরিপুর তেল ক্ষেত্র থেকে উত্তোলন শুরু হয় ১৯৮৭ সালের জানুয়ারি মাসে (বন্ধ হয় ১৯৯৪সালে)।
  • হরিপুর ছাড়াও তেল পাওয়া গেছে কৈলাশটিলায় ।

চীনা মাটি

  • চীনা মাটির সন্ধান পাওয়া গেছে নেত্রকোনার বিজয়পুর, দিনাজপুরের মধ্যপাড়া এবং নওগাঁর পত্নীতলা ।

 

Content added By
Content updated By
Please, contribute to add content into চীনামাটি.
Content

বাংলাদেশ এশিয়ার ১৯তম বৃহৎ গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ। দেশীয় জ্বালানী চাহিদার ৫৬ শতাংশ পূরণ করে গ্যাস। বাংলাদেশ অপরিশোধিত তেল ও খনিজ দ্রব্যাদির অন্যতম আমদানিকারক দেশ। দেশের জ্বালানী খাত রাষ্ট্র মালিকানাধীন কোম্পানি যেমন: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও পেট্রোবাংলা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এদেশের হাইড্রোকার্বন শিল্পে কাজ করা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে শেভরন, কনোকোফিলিপস, স্ট্যাটওয়েল, গ্যাসপ্রম এবং ওএনজিসি। যেখানে প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের ৫০ শতাংশ আসে শেভরনের গ্যাস কূপগুলো থেকে। ভূতত্ত্ববীদদের বিশ্বাস, সমুদ্রসীমার এক্সকুসিভ ইকোনোমিক জোনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ তেল ও গ্যাসের মজুদ রয়েছে। ইন্দো-বাংলা পেট্রোলিয়াম কোম্পারি পূর্ব বাংলায় প্রথম খনিজ তেলের কূপ খনন করে চট্টগ্রামে ১৯০৮ সালে। ১৯৫৫ সালে বার্মা খনিজ তেল কোম্পানি সিলেটে গ্যাসের সন্ধান পায়। বর্তমানে দেশে মোট তেল গ্যাস অনুসন্ধান ব্লক রয়েছে ৪৮ টির মধ্যে স্থলভাগে ২২ টি ও সমুদ্রে ২৬ টি।

জেনে নিই

  • বর্তমানে দেশে মোট গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে- ২৯টি( সর্বশেষ- ইলিশা-১, ভোলা) 
  • বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ- প্রাকৃতিক গ্যাস (মিথেন ৯৫-৯৯%) ।
  • বাংলাদেশে প্রথম গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়- হরিপুরে, ১৯৫৫ সালে (উত্তোলন-১৯৫৭)
  • বর্তমানে দেশে মোট তেল গ্যাস অনুসন্ধান ব্লক রয়েছে- ৪৮ টি।
  • গ্যাস উত্তোলনের জন্য সমগ্র দেশকে স্থলভাগে ভাগ করা হয়েছে- ২২টি ব্লকে।
  • রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স (BAPEX-1983) BAPEX - Bangladesh Petroleum Exploration Production Company Limited.
  • বাংলাদেশে বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্রটির নাম- তিতাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস বেশি ব্যবহৃত হয়- বিদ্যুৎ উৎপাদন জ্বালানীতে।
  • ২টি গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ আছে- গ্যাসক্ষেত্রে (ছাতক, কামতা)।
  • সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলন ও ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহ করে- তিতাস গ্যাসক্ষেত্র
  • 'সুনেত্র' গ্যাসক্ষেত্রটি অবস্থিত- সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায়।
  • সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে যে সংস্থা- বাপেক্স।
  • বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে- ২টি (সাঙ্গু ও কুতুবদিয়া)।
  • সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্রটি অবস্থিত- ১৬ নং ব্লকে।
  • সাঙ্গু গ্যাস ফিল্ড থেকে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়- ১৯৯৮ সালে।
  • মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র খনন করে যে কোম্পানি- অক্সিডেন্টাল (যুক্তরাষ্ট্র)
  • মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটে- ১৯৯৭ সালে, মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত- মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে। টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ড ঘটে- ২০০৫ সালে, গ্যাসক্ষেত্রে কর্মরত ছিল- কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকো ।
Content added By
Content updated By

Water Resources Planning Organization (WRPO) বা পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দেশের পানি সম্পদের সামষ্টিক পরিকল্পনা প্রণয়নে একমাত্র সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান। দেশের সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন ও এর সুষম ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে পানি সম্পদ পরিকল্পনা আইন ১৯৯২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ওয়ারপো সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৩ হতে ১৯৯১ সালে জাতীয় পানি পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত “মাস্টার প্লান অরগানাইজেশন" বা এমপিও এর কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাংলাদেশে প্রথম আর্সেনিক ধরা পড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১৯৯৩ সালে। বর্তমানে সর্বাধিক আর্সেনিক আক্রান্ত জেলা চাঁদপুর। দেশে মোট আর্সেনিক আক্রান্ত জেলা- ৬১ টি অন্যদিকে আর্সেনিক মুক্ত জেলা - ৩টি যথা- রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি।

জেনে নিই

  • Water Resources Planning Organization (WRPO) প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯২ সালে।
  • পানি সম্পদ পরিকল্পানা ও ব্যবস্থাপনার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম- ওয়ারপো।
  • WHO - এর মতে আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা- ০.০৫ মিলিগ্রাম/লিটার।
  • বাংলাদেশে প্রাপ্ত আর্সেনিকের মাত্রা- ১.০১ মিলিগ্রাম/লিটার।
  • বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আর্সেনিক ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়- গোপালগঞ্জ জেলা।
  • টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আর্সেনিক নির্মূলে বাংলাদেশেকে যে সংস্থা সাহায্য প্রদান করে- বিশ্বব্যাংক ।
  • বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬ সালে (কার্যকর হয়- ১৯৯৭ সালে)।
  • বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ভারতের নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে (৩০ বছরের জন্য)।
  • দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেন- বাংলাদেশের পক্ষে শেখ হাসিনা ও ভারতের পক্ষে দেবগৌড়া।
  • বাংলাদেশ-ভারত পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
  • পানি চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ পাবে- ৩৫ হাজার কিউসেক পানি।
Content added By
Promotion